হুট করেই যদি ডাক আসে রক্তদানের,আর আপনি যদি রক্তদানের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন তবে আপনাকে শারিরীকভাবে আরো কিছু বিষয় জানা জরুরি।রক্তদানের পূর্বে আপনার নিচের কিছু বিষয় অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।
বয়স: রক্তদানের ক্ষেত্রে রক্তদাতার বয়স একটি গূরত্বপূর্ণ বিষয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে রক্তদাতার বয়স ১৮ থেকে ৬৫-এর মধ্যে হলে রক্তদান করতে পারবে।তবে কিছু কিছু দেশ বা অঞ্চলে ১৬-১৭ বছর বয়সীরাও শারিরীকভাবে পরিপূর্ণর থাকলে ডাক্তারের সম্মতিতে রক্তদান করা যাবে।
ওজন: রক্তদানে রক্তদাতার ওজন কমপক্ষে ৫০ কিলোগ্রাম হতে হবে।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৩৫০ মিলিগ্রামের মতো রক্ত দিতে রক্তদাতার ওজন ৪৫ কিলোগ্রাম হওয়া উচিত।
শারিরীক অবস্থা: শরীরে যদি ছিদ্র,উলকি করা হয় তাহলে রক্ত দেয়া যাবে না।উলকি বা শরীর ছিদ্র করে থাকলে,করার তারিখ থেকে ৬ মাসের জন্য দান করা যাবে না।দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেলে বা দাঁতের সমস্যা অপারেশন করলে ক্ষেত্রে বিশেষে ২৪ ঘন্টা থেকে একমাস পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।আবার রক্তে পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পূরণ না হলে রক্ত দেয়া যাবে না।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা মহিলাদের জন্য ১২.০ g/dl এর কম নয় এবং পুরুষদের জন্য ১৩.০ g/dl এর চেয়ে কম হওয়া যাবে না।
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় এবং গর্ভাবস্থার পরে,যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাতে হয় তখন রক্ত দেয়া যাবে না।যেকোনো প্রকার সর্দি, ফ্লু, গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা ব্যথা, পেটের ব্যাথ বা অন্য কোনো সংক্রমণ হলে রক্ত দেয়া যাবে না।মশা-বাহিত সংক্রমণ যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাস সংক্রমণের এলাকার লোকদের রক্তদানের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
তাছাড়া যেকোনো ধরণের মাদক গ্রহন করলে রক্ত দেয়া যাবে না।
বছরে কয়বার: সাধারণত ৫৬ দিন পর পর একজন ব্যাক্তি রক্ত দিতে পারে।বছরে কখনো কখনো ৬ বার পর্যন্ত রক্ত দেয়া যায়।
রক্তদানের পর করণীয়: রক্তদানের পর একজন ডোনারের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ গ্লাস বেশি পানি পান করতে হবে।যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যেমন ভারী কিছু উঠানো,ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।এবং রক্তদানের পর বিশ্রাম গূরত্বপূর্ণ বিষয়।
তথ্যসূত্র:
WHO,Red cross
One Response
T H Mahir Vai is on FIRE!!!